সরকারি ছুটি আর না বাড়ানোর কারণে রোববার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষ ছুটে চলছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দিকে। তবে গণপরিবহন চালু না হওয়ায় বিকল্প পথ হিসেবে নদীপথে লঞ্চে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ।
অনেকে আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চে উঠছে ট্রলার দিয়ে। সেখানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দোকানপাট খুলে যাওয়ায় শহরজুড়ে বেড়ে গেছে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এমন শঙ্কায় আছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটেও ঢাকামুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরিগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না যাত্রীরা। ফেরিগুলোতেও রাজধানীমুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে।
অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলাজুড়ে করোনার বিস্তার বেড়েই চলছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জ জেলায় নতুন করে ৬৮ জনকে করোনা শনাক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।