ডেস্ক রিপোর্ট: জায়গা-জমি সংকান্ত বিরোধের জের ধরে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রচারিত অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ১১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুরের জিন্নত আলী পাটওয়ারী বাড়ির মোস্তফা কামাল পাটওয়ারী।
তিনি এক বিবৃতিতে ‘লক্ষ্মীপুরের মজুপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা’ শিরোনামেসহ একই বিষয়ে একাধিক শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণার প্রতিবাদ জানান।
মোস্তফা কামাল পাটওয়ারী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের বাড়ির (১) জান্নাতুল ফেরদাউস (বয়স-২৮), স্বামী : বাহার উদ্দিন (২) নাসির আলম মিশন (বয়স-২৫), পিতা: মোখলেছুর রহমান (৩) আরিফ হোসেন (বয়স-২৮), পিতা : সিরাজ মিয়া, (৪) আবু তাহের মাষ্টার (বয়স-৬০), পিতা: মৃত গনু মিয়া গংদের সাথে আমাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম শিমুল একাধিকবার উভয় পক্ষের বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করলে বিবাদীরা তাকেও নাজেহাল করে। ২নং বিবাদী লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। সে ইতোমধ্যে কারারক্ষিদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী। কয়েকবার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, গাছকাটা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। আমার মালিকীয় পৈত্রিক ৬৫ বছরের পুরাতন ঘরটি মেরামত করতে ২০১৯ সনের ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের নিকট থেকে প্লান পাশ করিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করি। তারা পৌরসভায় অভিযোগ দিলে এ নিয়ে ৩ দফা পৌরসভা থেকে তাদেরকে নোটিশ করা হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। তারা আবেদন করে আবার তারাই শুনানীতে থাকেনি। এ পরিস্থিতি মেয়র ও কাউন্সিলর মহোদয়গণ আমাকে সংস্কার কাজ চালানোর অনুমতি দেন। কিন্তু উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গরা তাদের লোকজনকে নিয়ে করোনার সুযোগে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল আমার পুকুরপাড়ের সাইড ওয়ালের প্রায় ৬৫ফুট ভেঙ্গে ফেলে। ওই ঘটনায় আমি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। সদর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপর ১নং বিবাদী জান্নাতুল ফেরদাউস আমি ও আমার ছেলেমেয়েসহ ৬জনের নামে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এখনো অভিযোগটির কোনো সুরাহা হয়নি। ১৪ মে জান্নাতুল ফেরদাউস গংরা আমার দেওয়াল ভাঙ্গা ৬৫ ফুট জায়গায় (পুকুর ঘাটসহ) তারকাটার বেড়া দেওয়া শুরু করে। পরের দিন ১৫ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উল্লেখিত বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে আমার বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়। নিরুপায় হয়ে আমি ৯৯৯ এ কল করি। ৯৯৯ এর কল পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার এএসআই মোঃ হেলাল ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি সকল পক্ষের কাজ বন্ধ রেখে বৈঠকে বসে বিষয়টির সুরাহার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও বিবাদীরা তা মানেনি। পুলিশ যাওয়ার পর বিবাদীরা আমার বসত ঘরে ভাংচুর চালিয়ে সংস্কার কাজের জন্য রাখা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমাদের বসত ভিটায় ভাংচুর করার সময় আমি দরখাস্তকারী, আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস (বিবাদী নয়), ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেহেদি হাসান শান্ত, এসএসসি পড়ুয়া কন্যা নুসরাত জাহান অদিতিকে মারধর করে। আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা নিরীহ লিলি বেগম (৫২) কে তারা বেদম প্রহার করে। এ ঘটনায় আমি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ১৫ মে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগটির এখনো কোনো সূরাহা হয়নি। এছাড়াও তারা তাদের আদালতের স্থিতিবস্থার যে জমি আমাদের দ্বারা জবরদখলের তথ্য প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার ও বানোয়াট। স্থিতিবস্থার জমিতে আগে তারা যে অবস্থানে ছিলো, এখনো সেই অবস্থানেই আছে। তারা ফায়দা লুটার জন্য আমাদের নামে ওই জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমি বা আমরা কেউ তাদের স্থিতিবস্থার জমিতে যাইনি বা যাওয়ার চেষ্টাও কখনো করিনি। তারা বানোয়াট অভিযোগ করে আমাদেরকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিবাদীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে নানানভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি ধমকি প্রদর্শন করেই চলেছে। তারা যেকোন সময় আবারও আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করার আশংকা বিদ্যমান। তাদের ভয়ে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কগ্রস্ত দিন যাপন করছি। পুলিশ আমাদের প্রতি ন্যায় বিচার না করায় অভিযুক্তরা আমাদের প্রতি যখন-তখন অবিচার ও অন্যায় আচরণ করা অব্যাহত রেখেছে। অথচ তারা সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা আঁড়াল করে মিথ্যার বেসাতি করে আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ একপেশে সংবাদ প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। আমি ও আমাদের পক্ষের লোকজন এ ধরণের একপেশে সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে সঠিক কাগজপত্রের ভিত্তিতে জমি পরিমাপ করত: উভয় পক্ষ নিজ নিজ সম্পত্তি ভোগ দখলে নিয়ে শান্তিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করার সুযোগ দানে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাদের বক্তব্য পাওয়া গেলে তুলে ধরা হবে।